• আদালতের দ্বারস্থ ভুয়ো শিক্ষক তালিকায় নাম থাকা তৃণমূল কাউন্সিলর
    এই সময় | ০৩ জানুয়ারি ২০২৩
  • West Bengal Local News: ২০১৬ সালের নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে নম্বর বাড়িয়ে বেআইনিভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি যাঁরা পেয়েছিলেন, তাদের তালিকা প্রকাশ করার জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (School Service Commission) নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদলতের নির্দেশে SSC প্রকাশিত ৯৫২ জনের তালিকায় ৪৭৪ নম্বরে নাম ছিল রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষের। এমনকী বিকৃত OMR Sheet গুলিও প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি । এই তালিকা ও ওএমআর শিট প্রকাশের পরই গোটা রাজ্যে শোরগোল পড়ে যায়। এবার এই সংক্রান্ত মামলাতেই আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন ওই তৃণমূল কাউন্সিলর। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন এই তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁর দাবি, তিনি নিয়ম মেনে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। ওএমআর শিটের তথ্য প্রকাশে তাঁর মানহানি হয়ছে বলে দাবি করেছেন ওই তৃণমূল কাউন্সিলর।

    তিনি বলেন, “আমি ২৩ ডিসেম্বর জানতে পারি, পর্ষদের থেকে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে আমার নাম রয়েছে। সেই তালিকায় কেন আমার নাম আছে, তা সত্যিই আমার কাছে এখনও অজানা। আমি MA, B.Ed পাশ করেছি। আগে আমি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা ছিলাম। সেটা ছেড়ে আমি নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমি তৃণমূল কাউন্সিলর হিসেবে নয়, একজন সাধারণ পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। আমরা যখন পরীক্ষা দিয়েছিলাম, ওএমআর শিটে কত পেয়েছি অথবা ইন্টারভিউয়ে কত পেয়েছি তা কখনোই জানানো হয়নি।"

    কুহেলি বলেন, "ফলাফল বেরনোর পর আমাদের শুধুমাত্র কোয়ালিফায়েড দেখানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী নথি যাচাই, ইন্টারভিউ এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া মেনেই আমাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে এবং এখন আমি চাকরি করছি। আমি ২০০৯ সাল থেকে কাউন্সিলর। ফর্ম ফিলাপের সময় আর পাঁচজন পরীক্ষার্থীর মতোই আমি আবেদন করেছি। আইনের প্রতি আ্রমার আস্থা রয়েছে। আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। আশা করি আমি সঠিক বিশ্বাস পাব।"

    নিয়োগে দুর্নীতি রাজ্যের জ্বলন্ত ইস্যুগুলির মধ্যে অন্যতম। ভুয়ো নিয়োগের তালিকায় খোদ তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম থাকায় রাজ্য জুড়ে শোরগোর পড়ে যায়। বর্তমানে কুহেলি সোনারপুর চৌহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ইতিহাসের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত। প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন বর্তমানে তিনি যে পদে রয়েছেন, সেই পদে থাকার মতো তাঁর যোগ্যতা রয়েছে। কুহেলির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কী রায় দেয় সেদিকে নজর থাকবে।
  • Link to this news (এই সময়)