রবিবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী জানিয়েছিলেন যে, পন্থ তাঁকে বলেছেন রাস্তায় থাকা গর্ত থেকে বাঁচতে গিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে তাঁর গাড়ি। যদিও দুর্ঘটনার পর পুলিশ জানিয়েছিল যে, পন্থ বলেছেন তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। কোনটা সত্যি তা এখনও স্পষ্ট নয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার রুরকি এলাকার প্রধান প্রদীপ সিংহ গুসেইন বলেন, “যে জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে রাস্তায় কোনও গর্ত নেই। ওই রাস্তায় একটা সরু খাল আছে। সেই কারণে রাস্তাটা একটু ছোট ওই জায়গায়। নিকাশির জন্য ব্যবহার হয় ওই খালটা।”
পন্থের সঙ্গে দেখা করার পর মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর বলেছিলেন, “পন্থ বলল রাস্তায় কোনও গর্ত বা কালো রঙের কিছু ছিল। সেটার থেকে গাড়ি বাঁচাতে গিয়েই ধাক্কা লাগে।” গর্ত ভরাট না করার অভিযোগ উঠেছিল ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে। রবিবার থেকে রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। অনেকটা এলাকায় কাজ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু হলেও উঠেছে প্রশ্ন। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা কেন আগে মেরামত করা হয়নি। কিন্তু গুসেইন এ দিন অন্য কথা বলছেন। তিনি বলেন, “রাস্তা মেরামতের কোনও কাজ হয়নি ওখানে।” যদিও রাস্তা সারানোর বেশ কিছু ছবি দেখা যায় রবিবার রাতে।
শুধু উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী নন, দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার কর্তা শ্যাম শর্মাও বলেছিলেন রাস্তায় গর্তের কথা। শনিবার পন্থের সঙ্গে দেখা করার পর শ্যাম বলেছিলেন, “যে জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটে, সেখানে গর্ত ছিল। সেখান থেকে গাড়ি বাঁচাতে গিয়েই ডিভাইডারে ধাক্কা মারে পন্থ।”
শুক্রবার ভোরে পন্থের দুর্ঘটনা ঘটে। ৫.৩০ নাগাদ দিল্লি থেকে রুরকি যাওয়ার পথে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে ভারতীয় উইকেটরক্ষকের গাড়ি। একাই ছিলেন তিনি। গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে বেরিয়ে আসেন পন্থ। গাড়িটিতে আগুন লেগে যায়। সঙ্গে সঙ্গে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরে দেহরাদূনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পন্থকে। সেখানেই রয়েছেন তিনি। পন্থের মাথায়, পিঠে এবং পায়ে চোট রয়েছে।