• ব্ল্যাকমেল করে শারীরিক সম্পর্ক, আত্মঘাতী গৃহবধূ
    বর্তমান | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: ব্ল্যাকমেল করে দিনের পর দিন এক বধূর সঙ্গে শারীরিক সর্ম্পক তৈরি করেছিল প্রতিবেশী যুবক। সেই মানসিক চাপ নিতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই বধূ। জয়পুর থানার জাতিপুকুর গ্রাম থেকে এমন অভিযোগ মিলেছে। শুক্রবার রাতে আত্মঘাতী ওই বধূর নাম ভবানী ঘোষ (৩৪)। অভিযুক্ত গণেশ হাজরাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার সন্ধ্যায় বধূর পরিবার ও গ্রামবাসীরা মৃতদেহ নিয়ে বাগনান জয়পুর রাস্তা অবরোধ করেন। পরে জয়পুর থানার পুলিস গণেশকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে রাস্তা অবরোধ মুক্ত হয়।

    বছর ১৬ আগে জয়পুরের জাতিপুকুর গ্রামের বাসিন্দা পাইপলাইন মিস্ত্রি সঞ্জয় ঘোষের সঙ্গে ভবানীর বিয়ে হয়। তাঁদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। কিন্তু বছর দুয়েক আগে বাইক গ্যারাজের মালিক গণেশ হাজরার সঙ্গে ভবানীর অবৈধ সর্ম্পক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ। সঞ্জয় বিষয়টি জানার পর প্রতিবাদ করলে গণেশ নাকি তাঁকেও মারধর করে। এরপর সঞ্জয় বিষয়টি এলাকার বাসিন্দাদের জানানোর কথা বলেন। কিন্তু সম্মানের কথা ভেবে ভবানীই তাঁকে বারণ করেন। অভিযোগ, এরপর গণেশের অত্যাচার আরও বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতেও গণেশ ফোনে বধূকে গালিগালাজ করে। এরপরই শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতে আত্মঘাতী হন তিনি।

    ওই বধূর স্বামী সঞ্জয় ঘোষ জানান, দিনের পর দিন গণেশ তাঁর স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেল করে শারীরিক সর্ম্পক করত। বাধা দিলে স্ত্রীকে তো বটেই, এমনকী আমাকেও মারধর করত। এমনকী বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিত। বৃহস্পতিবার বিকেলে গণেশের ফোন আসার পরেই স্ত্রী মনমরা হয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার দুপুরেও গণেশ ফোন করেছিল। সন্ধ্যায় বাজার করতে গিয়ে খবর পাই, স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছে। সঞ্জয়বাবু জানান, ঘটনার পর পুলিস আমাকেই আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছিল। পরে আমাকে ছেড়ে দিলেও আমরা গণেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাইলেও পুলিস তা নিতে চায়নি। যদিও পুলিসের দাবি, এখনও পর্যন্ত মৃত বধূর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ জমা পড়লে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে গ্রামবাসীর রাস্তা অবরোধ। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)