• বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পে ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ, খুশি বাসিন্দারা
    বর্তমান | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • সংবাদদাতা, পতিরাম: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পে এবছর ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রক ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে দীর্ঘদিন আটকে থাকা হিলি রেল প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। তার মাঝেই রেল বাজেট নিয়ে ফের আশার আলো দেখছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দারা। এদিকে বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্প নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। 

    এবিষয়ে বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এবারের রেল বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জন্য ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এর আগেও কেন্দ্রীয় সরকার রেল প্রকল্পের জন্য টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণের কাজ না করায় সেই টাকা ফেরত চলে গিয়েছে।  

    অন্যদিকে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, সাংসদ হয়ত ভুলে গিয়েছেন যে এই প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত প্রকল্প। কিন্তু এতদিন কেন্দ্র টাকা না পাঠানোয় কাজ হয়নি। এবার হিলি রেল সম্প্রসারণে ১৯০ কোটি টাকা বাজেটে ঘোষণা হলেও বুনিয়াদপুর ও কালিয়াগঞ্জে রেল প্রকল্পে মাত্র ১০০০ টাকা করে বরাদ্দ হয়েছে। তৃণমূল জেলার উন্নয়নে আগ্রহী, তাই রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ শুরু করেছে।  

    এবিষয়ে হিলির বাসিন্দা দেব কুমার লাহা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এর আগেও হিলি রেলের জন্য বাজেট ঘোষণা করেছিল। কিন্তু কাজ হয়নি। এবার জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে এবং ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তাই ভালো লাগছে। এবার যাতে এই প্রকল্পে ঢিলেমি না হয়, তার দাবি জানাই। 

    ২০১০ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন প্রথম বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের ঘোষণা হয়। যার ফলে হিলির রেল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অবদান এখনও এক বাক্যে স্বীকার করেন জেলার বাসিন্দারা। পরবর্তীতে মুকুল রায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১১ সালে এর কাজ শুরু হয়। প্রথমে ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দে বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত তিনটি ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের পর জমি জটের কারণে সেই প্রকল্পের কাজ থমকে যায়। পরবর্তীতে রেলের তরফে ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও কাজ না হওয়ায় সেই টাকা ফিরে যায়। পরবর্তীতে পর পর তিন বছর মাত্র ১০০০ টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় সরকার। এনিয়ে জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছিল। পরে ২০২২ সালে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র সরকার। এরপর ২০২৩ সালে রেল বাজেটে ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বালুরঘাট-হিলি রেল নিয়ে হিলির এক শিক্ষক হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন। এরপরেই কেন্দ্রীয় সরকার জমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেয়। বর্তমানে জেলাপ্রশাসনের তরফে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই জমি অধিগ্রহণের জন্য সার্ভের কাজ শেষ। বর্তমানে জমির মূল্য নির্ধারণ চলছে। যা শেষ হলেই রেলের তরফে কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)