• ‘‌এরকম বড় বড় ডায়লগ আগেও শুনেছি আমরা’‌, অভিষেককে আক্রমণ দিলীপের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। আর শনিবার কেশপুরের সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানান, কেউ মনোনয়ন জমা দিতে না পারলে তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মনোনয়নের ব্যবস্থা করবেন। আর এই কাজ করতে, অভিযোগ জানানোর জন্য একটি নম্বরও দেন তিনি। তবে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি ‘সবটাই ডায়লগ’। কাজের কাজ কিছুই হবে না।

    ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?‌ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে সাহায্য করবেন বলেছেন। এই শুনে রবিবার সকালে সুভাষ সরোবরে প্রাতঃভ্রমণে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‌এরকম বড় বড় ডায়লগ আগেও শুনেছি আমরা। নিজে সামলান, নিজেদের কর্মীদের সামলান, ওনাকে কেন নামতে হয়েছে মাঠে?‌ ওনাকে কেন গিয়ে বুথে বসতে হচ্ছে?‌ তার জবাব দিতে হচ্ছে। তারা যা লুট করেছে তারা মানুষকে জবাব দিতে পারছে না। তাই ওনাকে বুথে গিয়ে বসতে হচ্ছে। জমির পাটটা দেবে বলছে। তাহলে কেন দশ বছর দেননি?‌ আগেই তো দেওয়া উচিত ছিল।’‌

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলেছিলেন?‌ কেশপুর সভায় গিয়ে দিয়ে মনোনয়ন নিয়ে রাস্তা বাতলে দেন। তিনি বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‌সিপিএমের হার্মাদ, বিজেপির জল্লাদ আর কংগ্রেসের উন্মাদদের আমি বলছি যদি পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন না দিতে পারেন সরাসরি আমাকে জানাবেন। আমি মনোনয়ন জমা করিয়ে যাব। মনোনয়ন করানোর দায়িত্ব আমার। প্রয়োজনে আমি নম্বর দিয়ে যাচ্ছি। ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭ এই নম্বর। সিপিএমের, বিজেপি, কংগ্রেস, আর নির্দল বন্ধুদের বলছি এই নম্বরে ফোন করে সরাসরি আমাকে জানান। আমি নিজে দাঁড়িয়ে মনোনয়ন করিয়ে দেব।’‌

    এদিকে বাসন্তী বীরভূম বোমার ঘটনা নিয়েও মন্তব্য করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ– সভাপতি। মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘‌এটা অনেকদিন ধরেই শুরু হয়েছে। যত পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে আসছে তত এই ঘটনা বাড়ছে। যেভাবে মর্মান্তিকভাবে বাচ্চারা মারা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের ক্ষতি হচ্ছে, জানি না সাধারণ মানুষকে কে বাঁচাবে?‌ তৃণমূলের পার্টিও ডামাডোল সরকার এবং ডামাডোলে যারা ভোট দিয়ে জিতিয়েছে, তাদের দায়–দায়িত্ব কে নেবে।’‌

    অন্যদিকে বাংলায় কেন্দ্রীয় টিম আসছে। অথচ টাকা আটকে রাখছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘‌টাকা দেওয়া আছে বলেই হিসেব চাইছেন। হিসাব দিন আগে। টাকাও নেবেন চোখও দেখাবেন। ২ লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকার হিসেব নেই। কোন মুখে ওনারা বড় বড় কথা বলেন। জমিদারের টাকা নাকি ঝেড়ে দিচ্ছেন, লোকদের খাওয়াচ্ছেন, ডিএ দিচ্ছেন না, পেনশন দিচ্ছেন না, চাকরি দিচ্ছেন না, কিছুই দেবেন না, প্রকল্পের টাকা লোকেরা পাচ্ছে না। আড়াই হাজার কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। সেই টাকা ব্যবহার করছে না। ওনাদের কোন পরিকল্পনাই নেই। হয়তো কাটমানি ছাড়া দেওয়া যাবে না। জল জীবন প্রকল্পের এত টাকা এসেছে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)