• Uttar Pradesh Global Investors Summit 2023 : উত্তরপ্রদেশে রয়েছে শিল্পের উপযুক্ত পরিবেশ, গ্লোবাল ইনভেস্টরস সামিটের আগে দাবি যোগীর
    এই সময় | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • National News : উত্তপ্রদেশে তৈরি হয়েছে শিল্পের উপযুক্ত পরিবেশ। এ জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ২৫ সেক্টরকে। উত্তরপ্রদেশ গ্লোবাল ইনভেস্টরস সামিট শুরুর আগেই এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী ()। রাজ্যের ৭৫টি জেলায় এই বিনিযোগ হবে বলে দাবি করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। শিল্প টানতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে লখনউয়ে শুরু হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ গ্লোবাল ইনভেস্টরস সামিট। চলবে ১২ তারিখ পর্যন্ত। শিল্পপতিরা উত্তরপ্রদেশে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছাপ্রকাশ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন যোগী। তথ্যপ্রযুক্তির পাশাপাশি জৈব জ্বালানি, হাইড্রোজেন শক্তি, বৈদ্যুতিক যান, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সহ মোট ২৫টি খাতে এই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান।

    তাঁর সরকার রাজ্যের GDP-র চেয়ে বেশি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বলে জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister of Uttar Pradesh)। এই বিনিয়োগ যে শুধুমাত্র লখনউ এবং NCR-র মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেনা, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এতে উত্তরপ্রদেশের প্রতিটি জেলা সমান উপকৃত হবে বলেও দাবি করেছেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

    এদিকে, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শিল্পপতিরা যাতে কোনো অসুবিধার সম্মুখীন না হন, সেদিকে তাকিয়ে এক নীতি রূপায়ন করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। চালু করা হয়েছে নিভেশ মিত্র নামে একটি সরকারি পোর্টাল। এর মাধ্যমে শিল্পের জমি সহ একাধিক বিষয় নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে শিল্পের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে গ্লোবাল ইনভেস্টরস সামিট আয়োজন করেছিল যোগী সরকার। সেই সময় রাজ্যে ৪.৬৮ লক্ষ্য কোটি টাকা বিনিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু এরপর কোভিড মহামারির জের পড়ে বিনিয়োগেও। যদিও ৪ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে বলে দাবি করেছেন (Chief Minister of Uttar Pradesh)।

    বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আগের ধারণা পরিবর্তন হয়েছে বলে দাবি করেছেন যোগী। রাজ্যকে একটি অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে তাঁর সরকার কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শিল্পস্থাপনে যাতে বাধার সৃষ্টি না হয়, তারজন্য আইনশৃঙ্খলা ও পরিকাঠামো উন্নয়নে সরকার নজর দিচ্ছে বলেও জানান যোগী আদিত্যনাথ।

    প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার পর সরকার শিল্প স্থানে আগ্রহী হন। এ ব্যাপারে প্রতি বছর দেশ ও বিদেশের শিল্পপতিদের নিয়ে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেজ সামিটের আয়োজন করে থাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শিল্পপতিরা যাতে সহজেই শিল্প স্থাপন করতে পারে, তারজন্য মমতার সরকার একটি নীতিও তৈরি করেছে। শিল্পের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই যোগী আদিত্যনাথ হাঁটছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
  • Link to this news (এই সময়)