Tripura: বাংলার উন্নয়নের মডেল চালু হবে ত্রিপুরাতেও, নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করল তৃণমূল
আজকাল | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ইশতেহার প্রকাশ করল প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস।
রবিবার আগরতলার চিত্তরঞ্জন রোডর প্রদেশ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ইশতেহার প্রকাশ করে দল। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং শশী পাঁজা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দলের ত্রিপুরা রাজ্যের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। নির্বাচনী ইশতেহারের আনুষ্ঠানিক প্রকাশের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলার যে উন্নয়ন হয়েছে তা দেশের আর কোথাও হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উন্নয়নের কথা সারা বিশ্বে স্বীকৃত হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যেও এই উন্নয়নের ধারা নিয়ে আসতে চান দল। বাংলার যে উন্নয়ন হচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ ও চান এখানে সে রকম উন্নয়ন।
অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, বাংলায় যে উন্নয়নের মডেল রয়েছে ত্রিপুরা রাজ্য তা চালু করা হবে। বিজেপি শুধুমাত্র ধনী শ্রেণীর জন্য কাজ করছে। বাজেটে দেখা যাচ্ছে দেশের বর্তমান সরকার কয়েকজন ধনী ব্যক্তি স্বার্থে কাজ করছে ও সুযোগ সুবিধা করে দিচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস এই রাজ্যের ক্ষমতায় এলে ২ লাখ কর্মসংস্থান করা হবে। বিজেপি সরকার যতগুলি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার একটিও পূরণ করতে পারেনি। কিন্তু তৃণমূলের তরফে যে সকল প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে সবকটাই পূরণ করা হবে। ত্রিপুরা রাজ্যের চাকরীচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষকদের সমস্যার আইন মেনে সমাধান করা হবে। তাদের সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে সরকারের তরফে।
পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী শশী পাঁজা ইশতেহার প্রকাশ প্রসঙ্গে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে সকল প্রতিশ্রুতি দেন তার চেয়ে বেশি কাজ তিনি করে দেখান। মহিলা ও শিশু কল্যানে পশ্চিমবাংলার সরকার ব্যাপক কাজ করছে। শুধুমাত্র মুখে প্রতিশ্রুতি দিয়েই শেষ হয়নি। এরাজ্যে সরকার গঠিত হলে এ কিভাবে নারী এবং শিশুদের জন্য কাজ করবে সরকার। রুপশ্রী কন্যাশ্রী লক্ষীর ভান্ডার ইত্যাদি প্রকল্প গুলি এখানেও চালু করা হবে বলে জানান।
রাজ্যসভার সংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, ত্রিপুরা রাজ্য চরম অব্যবস্থা চলছে। তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠা হলে তার সমাধান হবে। সারাদেশে বর্তমানে রান্নার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি চরম আকার ধারণ করেছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। তারা ক্ষমতায় এলে বছরের দরিদ্র পরিবার পিছু তিনটি রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বিনামূল্যে দেওয়া হবে।