• Kolkata Road Accident: নাইট ডিউটি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন ESI হাসপাতালের কর্মী, বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় মর্মান্তিক পরিণতি
    এই সময় | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • West Bengal Local News: সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ (Save Life Safe Drive)। অথচ নিরাপত্তা সপ্তাহের শুরুটাই হল এক মর্মান্তিক ও ভয়াবহ ঘটনা দিয়ে। পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ শুরুর দিনেই দুই বাসের রেষারেষির বলি হলেন এক মধ্যবয়সী মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার (Behala) ঠাকুরপুকুর (Thakurapukur) অঞ্চলে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম রূপা মণ্ডল (Rupa Mondal)। বয়স ৩৯ বছর। ঠাকুর পুকুর পানের আরার বাসিন্দা রূপা মণ্ডল জোকার ঠাকুরপুকুর ইএসআই হাসপাতালের (Thakurapukur ESI Hospital) কর্মী ছিলেন। জানা গিয়েছে, রবিবার তাঁর নাইট ডিউটি ছিল। নাইট ডিউটি শেষ হতেই এদিন ভোরে তাঁকে নিতে আসেন তাঁর ছেলে। ছেলের স্কুটিকে চেপে যাওয়ার সময়ই ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

    স্থানীয় সূত্রে দাবি, মাকে পিছনে বসিয়ে স্কুটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন ছেলে। সেসময় দুটি বেসরকারি বাস পৈলানের (Pailan) দিক থেকে নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করতে করতে এগিয়ে আসছিল। স্থানীয় সূত্রে দাবি, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস রূপা মণ্ডলের স্কুটিতে ধাক্কা মারে। ধাক্কার তীব্রতায় স্কুটি থেকে ছিটকে পড়েন মা-ছেলে। দুজনের মাথায় হেলমেট থাকা সত্ত্বেও এড়ানো যায়নি আঘাত। নিয়ন্ত্রণহীন SD 16 বাসের চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। মাথায় হেলমেট থাকায় আঘাত লাগলেও তা প্রাণঘাতী হয়নি রূপা দেবীর ছেলের ক্ষেত্রে। কিন্তু বাসের চাকা মহিলার মাথার উপর দিয়ে চলে যাওয়ায় তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

    রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে নিকটবর্তী বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Vidya Sagar State General Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রূপাদেবীকে পরীক্ষার পর মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অন্যদিকে, দুর্ঘটনার পর পালানোর চেষ্টা করলেও ঘাতক বাসটিকে আটকে দেন স্থানীয়রা। চালককেও আটকে রাখে এলাকার মানুষ। পরে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ এলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ঘাতক বাসের চালককে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এই প্রথম নয়, এর আগেও ওই রাস্তায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Road Accident) ঘটেছে।
  • Link to this news (এই সময়)