• গ্রামীণ এলাকায় ১০০ শতাংশ, পুর এলাকায় মাত্র ৪৪ শতাংশ এমআর টিকাকরণ দ্রুত টার্গেট পূরণে ঝাঁপাল পুরসভা
    বর্তমান | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি:  মিজেলস, রুবেলা টিকাকরণে শিলিগুড়ি শহরকে টেক্কা দিচ্ছে গ্রাম। মহকুমার গ্রামাঞ্চলে এখনও পর্যন্ত এই টিকারণের হার ১০০ শতাংশ ছুঁলেও শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকার মাত্র ৪৪.২০  শতাংশ টিকাকরণ হয়েছে।  মঙ্গলবার দীনবন্ধু মঞ্চে এমআর টিকাকরণ নিয়ে ডাকা বৈঠকে  বিভিন্ন স্কুলের  শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা ও  জেলা স্কুল আধিকারিকদের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব ও দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক  এস পন্নমবালম শিলিগুড়ি শহরে এমআর টিকাকরণের হার নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। শিক্ষকদের শোকজের   হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা। শিক্ষকদের পাল্টা অভিযোগ, ঠিকঠাক প্রচারের অভাবেই শহরে টিকাকরণ পিছিয়ে রয়েছে। 

    জেলাশাসক বলেন, ১১ ফেব্রুয়ারি এমআর টিকাকরণ অভিযান শেষ হবে। এর মধ্যে যদি ১০০ শতাংশ টিকাকরণ না হয়, তাহলে যে স্কুল এই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হবে, তাদের কারণ দর্শাতে হবে। সেই জবাব স্বাস্থ্যভবনে পাঠানো হবে। মেয়র বলেন, শিলিগুড়ি শহর সব বিষয়ে এগিয়ে থাকে। এ নিয়ে আমরা গর্ব করি। সেখানে কেন শহরের স্কুলগুলি এমআর টিকাকরণে পিছিয়ে পড়বে, ভেবে পাচ্ছি না। এদিকে, এদিনের এমআর টিকাকরণের লক্ষ্য পূরণের জন্য ডাকা বৈঠকে  মেয়র ও জেলাশাসক ছাড়াও পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, ডেপুটি সিএমওএইচ-৩ ডাঃ সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি পুরসভার কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া, পুরসভার হেল্থ অফিসার ডাঃ সঞ্জীব মজুমদার, বিভিন্ন মেয়র পরিষদ সদস্য, বরো চেয়ারম্যান সহ কাউন্সিলাররা ছিলেন। সব স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ডাকা হলেও কয়েকটি স্কুল থেকে কেউই আসেননি। এ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র। জেলাশাসক বলেন, মাটিগাড়া ও ফাঁসিদেওয়া ব্লকে ইতিমধ্যেই ১০০ শতাংশ  টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। মহকুমার  বাকি গ্রামীণ এলাকায় আর দু’দিনের মধ্যেই ১০০ শতাংশ টিকাকরণের লক্ষ্য পূরণ হবে। সেখানে শিলিগুড়ি পুরসভায় কেন ৪৪.২০ শতাংশ টিকাকরণ হল, বুঝে উঠতে পারছি না। টিকাকরণের হার বৃদ্ধির জন্য গত তিনদিন পুর এলাকায় মেগা ক্যাম্প করা হয়েছে। তাতে সোমবার সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৩০০ জনের টিকাকরণ হয়েছে। তাতেও এখনও লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছনো যায়নি। 

    শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, করোনাকালে রাজ্য সরকার সময়মতো আপনাদের বেতন দিয়ে গিয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে আপনারা কেন টিকাকরণে এভাবে পিছিয়ে পড়ছেন। এটা একরকম কর্তব্যে অবহেলা। টিকাকরণের হারের থেকে মিড ডে মিলের সংখ্যা বেশি। তাহলে মিড ডে মিল নিতে আসার সময় ছাত্রছাত্রীদের  সবার  টিকাকরণ করানো গেল না কেন? আমরা এখনও প্রথম পর্ব শেষ করতে পারলাম না, এটা লজ্জার। তাঁর আবেদন, আর চারদিন সময় আছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আপনারা ঝাঁপিয়ে পড়ুন। প্রয়োজনে বাড়তি স্বাস্থ্যকর্মী দেওয়া হবে। কাউন্সিলারদেরও উদ্যোগী হতে বলেন মেয়র। 
  • Link to this news (বর্তমান)