• নিখোঁজ, অজ্ঞাতপরিচয়ের দেহ উদ্ধারে সমন্বয় বৃদ্ধিতে পোর্টাল রাজ্য পুলিসের বাগুইআটি কাণ্ড থেকে শিক্ষা
    বর্তমান | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাগুইআটি কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে নিখোঁজ ও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধারের ক্ষেত্রে রাজ্যের সব থানার মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে নতুন পোর্টাল চালু করল রাজ্য পুলিস। পুলিস ছাড়াও নিখোঁজের পরিবার এই পোর্টাল ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য আপলোড করতে পারবেন। মঙ্গলবার ‘খোয়া পায়া’ নামের এই পোর্টালের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্য।

    ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাগুইআটিতে স্কুল ছাত্র অতনু দে ও অভিষেক নস্করের জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিসি গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। মৃতদের পরিবারের দাবি, লেকটাউন থানা ওই দু’জনের নিখোঁজ ডায়েরি নিতে গড়িমসি করেছে। বসিরহাট পুলিস জেলায় একটি খালের ধারে শেষ পর্যন্ত তাদের দেহ মেলে। অথচ এ সংক্রান্ত কোনও তথ্যই সংশ্লিষ্ট পুলিস জেলা জানায়নি। ফলে ওই খবর বাগুইআটিতে আসতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে গিয়েছে।

    রাজ্য পুলিসের কর্তাদের পর্যবেক্ষণ, নিখোঁজ ব্যক্তির তথ্য ঠিকমতো আপডেট করা হচ্ছে না। এক জেলার মিসিং কেসের বিষয়ে অন্য জেলাগুলি অন্ধকারে থাকছে। আসলে সমন্বয়ের ঘাটতি কারণেই এই সমস্যা হচ্ছে। কোনও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির ছবি সব জেলায় পাঠানোর ক্ষেত্রে সমস্যা আছে। থানার ইমেলে এই তথ্য গেলেও অনেক সময় কেউ তা খুলে দেখেন না। ফলে দেহ শনাক্ত করতে সময় চলে লেগে যাচ্ছে।

    এই সমস্যা মেটাতেই চালু হল ‘খোয়া পায়া’ পোর্টাল। কোথাও কোনও মিসিং বা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ মিললে সঙ্গে সঙ্গে ওই পোর্টালে আপলোড করবে থানাগুলি। দেহটি রাস্তা, পুকুর বা জলাশয়— কোথা থেকে মিলেছে, তারও উল্লেখ থাকবে। কোনও জেলায় নিখোঁজ ডায়েরি হলে রাজ্যের সব থানা এক ক্লিকে তা দেখে নিতে পারবে। জানতে পারবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম ও পরিচয়। এর ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্য কোনও জেলায় উদ্ধার হলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার অফিসাররা ছবি মিলিয়ে দেখে নিতে পারবেন। সাধারণ মানুষ চাইলে এই পোর্টালে নিখোঁজ ব্যক্তির তথ্য আপলোড করতে পারবেন। রাজ্য পুলিসের ওয়েবসাইটে একটি লিঙ্ক দেওয়া থাকবে। ওই লিঙ্কে ক্লিক করলে খুলে যাবে পোর্টাল। এরপর ভিতরে প্রবেশের জন্য দিতে হবে পাসওয়ার্ড। সেখানে এন্ট্রি নেওয়ার পর নির্দিষ্ট কলাম ফিল-আপ করে ছবি আপলোড করা যাবে। তারপর সেকেন্ডের মধ্যে কয়েকটি ছবি চলে আসবে স্ত্রিনে। তা দেখে সংশ্লিষ্ট পরিবার শনাক্ত করতে পারবে তার মধ্যে তাঁদের সদস্য আছেন কি না। ভবিষ্যতে এটি যাতে গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যায়, তার চিন্তাভাবনা চলছে।
  • Link to this news (বর্তমান)