• সেবি, এলআইসি, এসবিআই চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করতে হবে, দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের
    বর্তমান | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: এলআইসি-এসবিআইয়ের টাকা আদানির কোম্পানিতে বিনিয়োগে লুট হয়েছে গরিবের সঞ্চয়। তারপরেও কেন চুপ ইডি, সিবিআই? কেন ঘুমোচ্ছে সেবি? কেন গ্রেপ্তার হয়নি এলআইসি, এসবিআই, সেবির চেয়ারম্যান? মঙ্গলবার এই প্রশ্ন তুলে অভিনব আঙ্গিকে প্রতিবাদ করল তৃণমূল কংগ্রেস। নয়াদিল্লির কনট প্লেসে এলআইসি অফিসের সামনে জড়ো হলেন টিএমসি এমপিরা। মুখে কালো কাপড় বেঁধে, পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের এমপিরা। আজও একইভাবে পার্লামেন্ট থানার পাশে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সামনে প্রতিবাদ করবে টিএমসি। 

    সংসদের বাইরে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের পাশাপাশি লোকসভা এবং রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপনের আলোচনায় অংশ নিয়েও মোদি সরকারকে কোণঠাসা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের এমপিরা। তুললেন বাংলার বকেয়ার ইস্যুও। লোকসভায় আক্রমণাত্মক হলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহুয়া মৈত্র। রাজ্যসভায় ডেরেক ও’ব্রায়েন। আদানি ইস্যুতে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ তুলে সরব হলেন তাঁরা। প্রশ্ন তুললেন কেন এসবিআই, সেবি এবং এলআইসি’র চেয়ারম্যানদের গ্রেপ্তার করা হবে না? গরিব মানুষের টাকা কোনওভাবেই লুট হতে দেব না বলেও মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন তাঁরা। লোকসভায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার উন্নয়ন সহ্য করতে পারছেন না নরেন্দ্র মোদি। তাই উন্নয়নের গতি রুখতে চাইছে। সেই কারণেই বাংলার টাকা আটকে রেখেছেন মোদি। একইভাবে রাজ্যসভায় ডেরেক বলেন, নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা। কিন্তু এখন তো দেখা যাচ্ছে  মানি লন্ডারিং হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন হল, বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি কেন ঘুমোচ্ছে? বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে যদি মোদি সরকার ইডি, সিবিআইকে অপব্যবহার করে, তাহলে এক্ষেত্রে কেন নয়? লোকসভায় আদানি ইস্যুতে মহুয়া মৈত্র আক্রমণাত্মক হতেই প্রতিবাদ করেন বিজেপি এমপি রমেশ বিধুরি। তবে ট্রেজারি বেঞ্চকে চুপ করিয়ে দেন মহুয়া।
  • Link to this news (বর্তমান)