যুদ্ধের বর্ষপূর্তির আগে বাখমুট-সহ ইউক্রেনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর ঘিরে আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। মূলত ডনবাস (পূর্ব ইউক্রেনের ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) এলাকায় নিরঙ্কুশ আধিপত্য কায়েম করতেই ভ্লাদিমির পুতিনের সেনার এই সক্রিয়তা বলে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি। এই পরিস্থিতিতে জ়েলেনস্কির আবেদনের সাড়া দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম এবং জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য গত সপ্তাহে বৈঠকে করে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর সদস্য দেশগুলি। এর পর নেটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ জানান, রুশ হামলা ব্যর্থ করার জন্য ইউক্রেনকে সম্ভাব্য সহায়তার বিষয়ে তাঁরা ঐকমত্য হয়েছেন।
এই আবহে বাইডেনের ইউক্রেন সফর ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। ইউক্রেনের মাটি থেকে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করতে পারেন বলে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের দাবি। বাইডেনের সফরকে স্বাগত জানিয়ে জ়েলেনস্কি জানান, রুশ হামলা থেকে ইউক্রেনকে রক্ষা করার বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী। অন্য দিকে, যুদ্ধের বর্ষপূতি ঘিরে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েছে মস্কোও। চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই চলতি সপ্তাহেই রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন। সেখানে আমেরিকার বার্তা উপেক্ষা করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামনে ওয়াং দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতার কথা ঘোষণা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।