• বাংলা সহায়তা কেন্দ্র নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ বাংলাদেশের
    বর্তমান | ১৪ মার্চ ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ নিয়ে আগ্রহী প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। এই মডেলকেই তারা তাদের দেশে বাস্তবায়িত করতে চাইছে। একই কেন্দ্র থেকে কীভাবে সাধারণ মানুষকে সরাসরি হরেক পরিষেবা দেওয়া যায়, তা দেখতেই সোমবার চার সদস্যের এক প্রতিনিধিদল এরাজ্যে আসে। এদিন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা হাওড়ার ডোমজুড় ব্লকে এমনই এক কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করে সেদেশে এই পরিষেবা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। 

    সরকারি সুযোগ সুবিধাকে সাধারণ মানুষের হাতের মুঠোয় পৌছে দিতে রাজ্যে চালু হয়েছে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’। যেখানে সিঙ্গল উইন্ডোর মাধ্যমে ২৮০টির বেশি সরকারি পরিষেবা দেওয়া হয়। গ্রামীণ বাংলার আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে এমন সহায়তা কেন্দ্র। এর মাধ্যমে সরাসরি পরিষেবা পৌছে যায় নাগরিকের মুঠোয়। প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে খানিকটা এমন পরিষেবা থাকলেও মানুষ সরাসরি তার সুবিধা পান না। বরং তা হয় কিছুটা ঘুরপথে। সিঙ্গল উইন্ডোর মাধ্যমে এই পরিষেবা কীভাবে ব্লক স্তরে চলে, তার উত্তর খুঁজতেই বাংলাদেশ থেকে এসেছেন তাঁরা। চার সদস্যের এই দলের টেকনিক্যাল টিমের প্রধান অশোক বিশ্বাস। ডোমজুড়ের বিডিও গার্গী দাসের সঙ্গে ব্লক অফিস ও সহায়ক কেন্দ্র ঘুরে দেখেন তাঁরা। এই অভিনব উদ্যোগে যারপরনাই খুশি তাঁরা। প্রতিনিধি দলের সদস্য তথা বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল ফিনান্সের কর্মী তহরুল হাসান বলেন, আমাদের দেশে কিছুটা এই ধরনের একটি পরিষেবা দেওয়া হয়। তবে সেখানে সরাসরি মানুষ সব সুযোগ সুবিধা পান না। এখানে আমরা ব্লক স্তরে সেই কাজ কীভাবে হয়, তা ঘুরে দেখলাম। দেশে ফিরে গিয়ে এ নিয়ে আমরা চর্চা করব। যাতে একটি কেন্দ্র থেকে দ্রুত সব ধরনের পরিষেবা দেওয়া যায়, তা চালুর চেষ্টা হবে। এ নিয়ে হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) সৌমেন রায় বলেন, ডোমজুড়ের পাশাপাশি বিদেশি অতিথিরা জেলা সদরের সহায়ক কেন্দ্রও ঘুরে দেখেছেন। তাঁদের গোটা বিষয়টি বোঝানো হয়েছে। ডোমজুড়ের বিডিও গার্গী দাস বলেন, ২৮২টির বেশি সরকারি সুবিধা কীভাবে চলছে, তা আমরা বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের বুঝিয়েছি। আমার ব্লককে পর্যবেক্ষণের জন্য বেছে নেওয়ায় আমি খুশি ।

    এদিকে, রাজ্য সরকার এক প্রেস বিবৃতিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়েছে। রাজ্যের এই উদ্যোগ দেখে প্রতিবেশী দেশ যেভাবে উজ্জীবিত হয়েছে, তাতেই প্রমাণ হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের অভিজ্ঞতা বিনিময় হয়েছে। রাজ্যে এই মুহূর্তে ৪ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে সাড়ে ৯ কোটি পরিষেবা পেয়েছেন। এর মধ্যে ৯২ শতাংশ পরিষেবাই পেয়েছেন গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা। ভবিষ্যতে আরও কিছু পরিষেবাকে এর আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)