• ওএমআরে প্রশ্ন কোর্টে
    এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৩
  • এই সময়: 'মন্ত্রী-আধিকারিকরা অনেকে জেলে। আমাদেরও জেলেই পাঠিয়ে দিন। তা হলে অন্তত উপোস করতে হবে না'--স্কুলে গ্রুপ-সি'র কর্মচ্যুত কর্মীদের তরফে এমনই আর্তি জানানো হলো হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। একই সঙ্গে সিবিআইয়ের উদ্ধার করা ওএমআর শিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন তুললেন। কিছু দিন আগেই হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে এই কর্মীরা কাজ হারিয়েছেন।

    মঙ্গলবার দীর্ঘ শুনানির মধ্যে হালকা মেজাজে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার মন্তব্য করেন, এই মামলার নথির যা ওজন, তাতে দেহের উপরের অংশের জন্যে আলাদা করে ব্যায়াম করতে হবে না। বাইসেপ-ট্রাইসেপ, কাঁধের ব্যায়াম এমনিতেই হয়ে যাবে। একটু হাঁটাহাঁটি করলে পায়ের ব্যায়ামও হয়ে যাবে। আইনজীবীদের মতে, শিক্ষায় নিয়োগ-দুর্নীতির মামলায় বিশাল নথি নাড়াচাড়া করতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে তাঁদেরও।

    এ দিন আপিল মামলায় কর্মচ্যুত শিক্ষাকর্মীদের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, এসএসসি'র আপলোড করা ওএমআর শিট যে তাঁদেরই, সেটা কে নিশ্চিত করল? এখন তো বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করেও নথি বিকৃত করা যায়। তাঁদের ওএমআর যে বিকৃত করা হয়নি, তার নিশ্চয়তা কোথায়? কারণ ওই সব ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী নাইসা'র অফিস থেকে উদ্ধার হয়নি। তাদেরই এক প্রাক্তন কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। এর যথার্থতা কে মূল্যায়ন করল?

    এই প্রেক্ষিতে এসএসসিকে আদালত প্রশ্ন করে, মামলাকারীরা (এখানে কর্মচ্যুতরা) প্রশ্ন তুলছেন, যে আপনারা যে ওএমআর আপলোড করেছেন, সেগুলি যে ফরম্যাটে আছে, তা বিকৃত করা সম্ভব। এ বিষয়ে আপনাদের কিছু বলার আছে? সিবিআইয়ের দেওয়া রেকর্ড আপনারা কীসের ভিত্তিতে গ্রহণ করলেন? এসএসসি জানায়, সিবিআই যে নথি দিয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখেই তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ দিন আদালত মামলায় সিবিআইকে যুক্ত করার নির্দেশ দেয়। আজ, বুধবার ফের শুনানি রয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)