• সিবিআই তলবে হাজির পর্ষদকর্মী
    এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৩
  • এই সময়, কলকাতা ও দুর্গাপুর: স্কুলে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার তদন্তে অয়ন শীলকে গ্রেপ্তারির পরই নতুন তথ্য পেয়েছিল ইডি। তদন্তকারী সংস্থা সোমবার আদালতে লিখিত ভাবে জানায়, শুধু ২০১৪-এর প্রাথমিকের টেট নয়, ২০১২-এর টেটেও চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগে অনেকের থেকে টাকা তুলেছিলেন অয়ন। তার পরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবকে চিঠি দিয়ে বেশ কিছু তথ্য চেয়ে পাঠায় ইডি।

    মঙ্গলবার পর্ষদের সচিবকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দপ্তরে তলব করা হয়েছিল। তবে এই মুহূর্তে পর্ষদে সচিব পদটি শূন্য। তাই এক জন আধিকারিক দুপুরে প্রয়োজনী ফাইল নিয়ে যান। তদন্তকারীরা তাঁকে জানান, আরও নথি লাগবে। সেই সব নথি নিয়ে সন্ধেয় ফের ওই আধিকারিক যান ইডি অফিসে। ইডি সূত্রে খবর, ওই সব নথি খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। পরে প্রয়োজনে ফের যোগাযোগ করা হবে পর্ষদের সঙ্গে।

    ইডি সূত্রে খবর, ২০১৪-র প্রাথমিকে নিয়োগের পাশাপাশি ২০১২-এর টেট এবং নিয়োগ সম্পর্কেই তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। ২০১২-এর টেট কবে হয়েছিল, ওএমআর শিট কারা মূল্যায়ন করেছিল, ইন্টারভিউ পদ্ধতি কী ছিল, কতদিন পর নিয়োগ হয়েছিল, কত শূন্যপদ ছিল, কতজন নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন--এ সব জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    ২০১২-র টেটে প্রাথমিকে প্রায় ৩৪ হাজার শূন্যপদ ছিল। তবে ১৮ হাজার পদে নিয়োগ হয়েছিল। বিপুল শূন্যপদ পূরণ হয়নি কেন--এই বিষয়টিও জানার চেষ্টা করছে ইডি। দুর্গাপুরের কুরুড়িয়াডাঙাল এলাকার মিলনপল্লিতে একই পরিবারের চার জনের মৃত্যুর ঘটনাতেও ২০১২-য় প্রাথমিকে নিয়োগ-দুর্নীতির যোগ উঠে এসেছে। সুইসাইড নোটে অমিত মণ্ডল লিখেছিলেন, ২০১২-র নিয়োগ-দুর্নীতিতে তাঁর মামাতো ভাই-সহ আরও কয়েক জন যুক্ত।

    টেট পাশ তো দূর, কোনও ইন্টারভিউ ছাড়াই চাকরি পেয়েছেন অনেকে। বর্তমানে তাঁরা দুর্গাপুর মহকুমার বিভিন্ন স্কুলে চাকরি করছেন। অমিতদের পরিবারের চার জনের মত্যুর ঘটনাতেও সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। মৃত অমিতের এক আত্মীয় সুদীপ্তা ঘোষ বলেন 'অমিত নিয়োগ-দুর্নীতি সংক্রান্ত বহু তথ্য জেনে গিয়েছিল। অমিতের উপরে মামাতো ভাই-সহ পরিবারের মানসিক নির্যাতনের পিছনে এও একটা কারণ। আমরা চাই, সঠিক তদন্ত হোক।'
  • Link to this news (এই সময়)