• ‘ঠেকাতে হবে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ’! করোনা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা পর্যালোচনা বৈঠকে বললেন মোদী
    আনন্দবাজার | ২৩ মার্চ ২০২৩
  • আতঙ্কের কিছু নেই। কিন্তু সতর্কতায় ঢিলে দেওয়া যাবে না এতটুকুও। বুধবার করোনা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠকের পরে এমনই বার্তা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন করে মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি বজায় রাখার মতো সতর্কতামূলক পদক্ষেপের উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ‘গত দু’সপ্তাহে করোনা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ বাড়ার কারণেই এই বৈঠক। দু’বছর আগে করোনার দ্বিতীয় স্ফীতির গোড়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছি। এ বার দেশে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার আঁচ পেতেই দ্রুত তৎপর হয়েছেন মোদী। সংক্রমণের পুরনো ছবি যাতে আর ফিরে না আসে, তা নিশ্চিত করতেই বুধবার তিনি উচ্চপর্যায়ে বৈঠক করেন বলে সরকারি সূত্রের খবর।

    প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ, নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য)-সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। দেশের করোনা ও ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি এই বৈঠকে সংক্রমণের সম্ভাব্য স্ফীতির মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সামগ্রিক ভাবে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা বলেন মোদী।

    বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘‘বুধবার দেশে ১,১৩৪টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা চিহ্নিত হয়েছে। ৫ জন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে (ছত্তীসগঢ়, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাত এবং কেরলে ১ জন করে)। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৭,০২৬।’’ সূত্রের খবর, চিনে করোনাভাইরাসের নতুন উপরূপ ‘বিএফ.৭’-এর ‘সক্রিয়তা’ বাড়ার ঘটনাতেও চিন্তা রয়েছে কেন্দ্রের। তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে করোনাবিধি চালু করা, পরীক্ষা বাড়ানো এবং জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি আলোচনায় এসেছে এইচ১এন১ এবং এইচ৩এন২ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর বিষয়টিও।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুধবারের তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহে গড়ে দৈনিক ৮৮৮টি সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। সংক্রমণের হার ০.৯৮ শতাংশ (প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়)। স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা সতর্ক করেছি।’’ প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে দৈনিক গড় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৮ হাজার!

  • Link to this news (আনন্দবাজার)