বাবা বলছেন, 'ED ডাকলে মেয়ে যেতে রাজি', কথা বলছেন আইনজীবীর সঙ্গে! কিন্তু কোথায় শ্বেতা?
২৪ ঘন্টা | ২৩ মার্চ ২০২৩
বরুণ সেনগুপ্ত: নিয়োগ দুর্নীতিতে নজরে রহস্যময়ী শ্বেতা। আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ইডি ডাকলে তদন্তে সহযোগিতা করবেন। এদিন জানালেন শ্বেতার বাবা। তাঁর আরও দাবি, শ্বেতা নির্দোষ। সব নথি রয়েছে। তবে নিয়োগ দুর্নীতিতে অয়নের বান্ধবী রহস্যময়ী শ্বেতা কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি। তার মধ্যেই শ্বেতার বাবা জানালেন, আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন শ্বেতা। ইডি ডাকলে তদন্তে সহযোগিতা করবেন। এদিন সকাল থেকেই শ্বেতা চক্রবর্তীর বাড়িতে এখনও দরজা জানালা বন্ধ। তার বাবা জানালা খুলে বলেন শ্বেতা এখানে নেই। বাড়িতে নেই বোন, একই কথা বলেন শ্বেতার দাদা শুভোদীপ চক্রবর্তীও।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম উঠছে আর্থিক লেনদেনে। নৈহাটির জেলাপাড়ার মেয়ে, সেখানেই বেড়ে ওঠা। নৈহাটির বিজয়নগরে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন শ্বেতা। মেয়ের নাম এভাবে সামনে আসায় দৃশ্যত বিধ্বস্ত স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী অরুণ চক্রবর্তী। তবে এই মুহূর্তে কোথায় আছে শ্বেতা তা জানা গেলেও তার বাবা জানিয়েছেন, কলকাতায় আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি আরও বলেন, 'মেয়ে কোনও অন্যায় থাকলে সে শাস্তি পাবে। তবে শ্বেতার হুগলির ফ্ল্যাটের জন্য আমি টাকা দিয়েছি। বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটের বিষয়ে কিছু জানি না। মেয়ে বড়ো হয়েছে সব কিছু বলে না।'
বিগত ২০১৭ সাল থেকে অয়ন শীলের সঙ্গে পরিচয় শ্বেতা চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে, অয়ন শীলের স্ত্রীর সুবাদেই মডেল শ্বেতার সঙ্গে পরিচয় অয়নের। অয়ন শীল পেশায় প্রোমোটিংয়ের ব্যবসা করেন। তার প্রোমোটিংয়ের ব্যবসার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন শ্বেতা। অয়ন শীলের প্রোডাকশন হাউসের তৈরি কবাডি কবাডি সিনেমাতেও অভিনয় করেন শ্বেতা চক্রবর্তী। যে সিনেমার ডিরেক্টর ছিলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্য়ায়। দীর্ঘদিন ধরে কামারহাটি পৌরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি করেন শ্বেতা চক্রবর্তী।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায় ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলকে। অয়নের বাড়ি ও সল্টলেকের অফিস থেকে মিলেছে ২০১২-১৪ টেট-এর ওএমআর শিটের কপি। ইডি-র দাবি, এখান থেকেই হতো টেট-এসএসসির চাকরি বিক্রি। অয়ন শীলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যেসমস্ত নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।