• অ্যাম্বুলেন্সে করে ডাকাতির ছক বানচাল, গ্রেপ্তার পাঁচ
    বর্তমান | ২৪ মার্চ ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: অ্যাম্বুলেন্সে চেপে ডাকাতির ছক ভেস্তে দিল কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিস। এই ঘটনায় পুলিস মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, কয়েক রাউন্ড গুলি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। 

    পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রাহুল হক, বাপ্পা রহমান, শাহিদ হোসেন, জাহিরুল হক ও সাদ্দাম হোসেন। এদের বাড়ি দিনহাটা থানার ছোট বোয়ালমারি, কোচবিহার কোতোয়ালি থানার টাপুরহাট চৌপথি ও মাথাভাঙার বডুয়াপাড়া এলাকায়। বুধবার রাত দু’টো নাগাদ কোচবিহার কোতোয়ালি থানার টাপুরহাট এলাকার বডুয়াপাড়া এলাকা থেকে কোচবিহারের দিকে যাচ্ছিল ওই অ্যাম্বুলেন্সটি। সেই অ্যাম্বুলেন্সে চেপে মোট ছয় দুষ্কৃতী কোচবিহার অভিমুখে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার টাপুরহাট ক্যাম্পের পুলিস চলন্ত ওই অ্যাম্বুলেন্সটি আটকায়। পুলিসের গাড়ি দেখেই সেই সময় একজন দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়। তবে বাকি পাঁচজনকে পাকড়াও করে পুলিস বাহিনী। 

    ধৃতদের কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল ও তিন রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, কোচবিহারের কোনও পেট্রল পাম্পে ডাকাতির উদ্দেশ্যে এরা হানা দিত। যেহেতু অ্যাম্বুলেন্সকে সাধারণত সন্দেহের তালিকার বাইরে রাখা হয়, তাই এই দুষ্কৃতীরা অ্যাম্বুলেন্সকেই বাহন হিসেবে বেছে নিয়েছিল। কোনও অপরাধ সংগঠিত করার জন্য দুষ্কৃতীদের অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের মতো ঘটনা এদিকে সচরাচর দেখা যায় না বলেই পুলিস মনে করছে। দুষ্কৃতীদের এদিন আদালতে পাঠিয়ে চার দিনের পুলিস হেফাজত পাওয়া গিয়েছে বলে কোচবিহার কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে।

    জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার কুমার সানি রাজ বলেন, একটি অ্যাম্বুলেন্সকে আটক করে পুলিস পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। ধৃতদের আদালতে পাঠিয়ে চার দিনের পুলিস হেফাজত পাওয়া গিয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

    গত কয়েক মাসে কোচবিহার জেলার বিভিন্ন জায়গায় সোনার দোকান, বাড়িতে চুরি, পেট্রল পাম্পে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই সমস্ত সোনার দোকানের চুরির ঘটনার পুলিস আজও কোনও কিনারা করতে পারেনি। পরপর এই ধরনের ঘটনা ঘটায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এবার রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় অ্যাম্বুলেন্সে চেপে দুষ্কৃতীদের ডাকাতি করতে যাওয়ার মতো ঘটনা সামনে আসায় কার্যত নড়েচড়ে বসেছে পুলিস। এই ধরনের ঘটনা এদিকে দেখা যায় না বলে মনে করছে পুলিস। কার্যত পুলিসের চোখে ধুলো দিতেই এমনটা করা হচ্ছিল বলে পুলিসের অনুমান।

     প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, কোনও পেট্রল পাম্পে এরা ডাকাতির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। যে অ্যাম্বুলেন্সে চেপে দুষ্কৃতীরা যাচ্ছিল, সেটিও স্থানীয় বলেই পুলিসের দাবি। কিন্তু পুলিসি তৎপরতায় দুষ্কৃতীদের ছক বানচাল হয়ে যায়। 
  • Link to this news (বর্তমান)