• 'হাতকড়া পরতে চাই', যৌন কেলেঙ্কারির গুঞ্জনের মাঝেই ইচ্ছাপ্রকাশ ট্রাম্পের
    এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৩
  • যৌন কেলেঙ্কারি মামলায় ক্রমেই জোরালো হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের গ্রেফতারি পরোয়ানা। জেলে যাওয়ার সময় আঙুলের ছাপ ও ছবির পরিবর্তে যাতে হাতকড়া পরানো হয়, তারই ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্রের উদ্ধৃতি তুলে ধরে এমনটাই দাবি করেছেন একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম।

    ট্রাম্পের এই মনোবাসনা নিয়ে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তাঁকে যাতে পিছন থেকে হাতকড়া পরানো হয়, সেই দাবিও করেছেন। আগামী বছর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ইতিমধ্যে ঘোষণাও করেছেন ওই রিপাবলিকান। হাতকড়া ছবি দেখিয়ে নির্বাচনে ট্রাম্প ফায়দা তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে তাঁর বিরোধীদের অভিযোগ।

    উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক বছর আগে ট্রাম্প পর্নস্টার স্টোর্মি ড্যানিয়েলের সঙ্গে যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় কেলেঙ্কারিটি যাতে ফাঁস না হয়, তার জন্য পর্নস্টারকে প্রায় ১,৩০,০০০ মার্কিন ডলার ঘুষ দেওয়া হয় বলে খবর। সেই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন পুলিশ।

    এদিকে, পর্নস্টার স্টোর্মি ড্যানিয়েলের অভিযোগ, ২০০৬ সালে তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। মেলানিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের বিয়ের পর এই ঘটনা ঘটেছিল বলে দাবি করেন তিনি। যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ২১ মার্চ মার্কিন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে বলে খবর রটে। আর এতে আতঙ্কিত হয়ে নিজের সমর্থকদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য নির্দেশও দিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    বুধবার ট্রাম্পের গ্রেফতারির একাধিক ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় হয় ভাইরাল। ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়তেই ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হয় হতাশা। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে দেখা গেছে, ওয়াশিংটন ডিসিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরেছে মার্কিন পুলিশ। তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। অন্য একটি ভিডিয়োতে দেখা গেছে পুলিশ কাছ থেকে ছুটে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পোস্ট হতেই ভিউয়ারের সংখ্যা তিন মিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়।

    যদিও পরে জানা যায় ভিডিয়োগুলি ভুয়ো। হাঁফ ছাড়েন ট্রাম্প অনুগামীরা। যৌন কাণ্ডে তাঁকে যে গ্রেফতার করা হবে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইচ্ছাপ্রকাশের মাধ্যমে তা নিশ্চিত হল বলে মনে করছেন কেউ কেউ । শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হলে, রিপাবলিকানরা আদৌও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন করবেন কিনা, তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
  • Link to this news (এই সময়)